মাননীয় প্রতিষ্ঠাতা

সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত

বিসমিল্লাহির রাহ-মানীর রাহিম

আসসালামু আলাইকুম

আলহাজ্ব এডভোকেট নেয়ামতউল্লাহ (১৯৩৭-২০২০)

নাম                             :    নেয়ামতউল্লাহ, সিআইপি

শিক্ষাগত যোগ্যতা       :    বি.এ. (কুমিল্লা), এল.এল.বি. (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)

পেশা                           :    এডভোকেট

পিতার নাম                  :    মৃত মোঃ কমর উদ্দিন মিয়াঁ 

স্থায়ী ঠিকানা               :    সাং- শিকারপুর, পোঃ- নানুনায় বাজার, থানা- বুড়িচং, জেলা- কুমিল্লা

বর্তমান ঠিকানা           :    ফৌজদারী, চৌমুহনী, ২৫ কোর্ট রোড, কোতয়ালী, কুমিল্লা

এডভোকেট নেয়ামতউল্লাহ কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন ষোলনন ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১২/০৯/১৯৩৭ইং সনে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি মৃত কমর উদ্দিনের কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি ১৯৫৪ইং সনে বুড়িচং আদর্শ হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ১ম বিভাগে উত্তীর্ন হন। ১৯৫৬ ইং সনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ হইতে ১ম বিভাগে আই.এ এবং ১৯৫৮ইং সনে একই কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। ১৯৫৯-১৯৬০ইং সনে পূর্ব পাকিস্থান সার্ভে ইন্সষ্টিটিউট হইতে সার্ভে ট্রেনিং গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬২ইং সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে এল,এল,বি পাশ করেন। ১৯৬৪ইং সন হইতে কুমিল্লা জেলা মুসলিম লীগের জেলা সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৬৯-১৯৭০ইং সনে পি,ডি,এম এর সদস্য ছিলেন। ১৯৮০ইং সন হইতে কুমিল্লা জেলা ডেমোক্রেটিস লীগের জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ০৮/০১/১৯৬৩ইং সনে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদ লাভ করে এবং ০৭/০৩/১৯৬৩ইং সনে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন। এডভোকেট নেয়ামত উল্লাহ ২৬/০৫/১৯৮২ইং সনে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে হাইকোর্টে ডিভিশনের সদস্য পদ লাভ করেন এবং ০৯/০৩/১৯৯২ইং সনে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতিতে যোগদান করেন। ১৯৮২-১৯৮৩ইং সনে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৭-১৯৯৮ সেশনে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৭-১৯৯৮ ইং সনে কুমিল্লা জেলার সরকারি উকিল (গভর্নমেন্ট প্লিডার – জিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস, কুমিল্লা সমবায় সমিতি এবং অগ্রণী ব্যাংকের আইন উপদেষ্টা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন।

তিনি কুমিল্লা আদালতের সিনিয়র (বর্ষীয়ান) আইনজীবীদের একজন ছিলেন। কুমিল্লা আদালতে দীর্ঘ ৫৭ বছর চাকরি করার কারণে, ২০১৪ সালে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতি তাকে সংবর্ধনা প্রদান করে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের দীর্ঘতম করদাতাদের একজন এবং বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক চট্টগ্রাম বিভাগের ষষ্ঠ নিয়মিত করদাতাদের একজন নির্বাচিত হন। জাতীয় অর্থনীতিতে তার ৪৭ বছর অব্যাহত অবদান রাখার কারণে তিনি ২০০৮ সালে এনবিআর কর্তৃক সিআইপি (বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) নির্বাচিত হন।

তিনি আইন পেশায় দীর্ঘ ৫৮ বছর অত্যন্ত গৌরবের সাথে অতিবাহিত করেন। সিভিল আইনজীবী হিসেবে তিনি ছিলেন একজন অনন্য পথপ্রদর্শক। তার আইন পেশার অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ ”আইন-আদালত” এর প্রকাশনা উৎসব ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় । তার জীব্বদশায় অন্তত ৩০ জন জুনিয়র এডভোকেট কাজ করেছেন। এদের মধ্যে অন্যতম সাবেক (২০২০) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, কুমিল্লা-২ আসনের মাননীয় সাবেক এমপি এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, কুমিল্লা বারের জিপি তপন বিহারী নাগ, এজিপি শাহিদা সুলতানা, কুমিল্লা বারের সাবেক সভাপতি এবং আরো অনেকে। তার জয়লাভ করা আলোড়ন সৃষ্টিকরা বেশকিছু কেসের মধ্যে ১৯৯৮ সালের ততকালীন সরকারের বিপক্ষে কুমিল্লার একটি আসনের ভোট রিকাউন্টিং রিটে জয় লাভ ছিল অন্যতম।

তিনি একজন নামকরা সমাজ সেবক ছিলেন এবং সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে আজীবন সম্পৃক্ত ছিলেন । তিনি শিকারপুর নিজ গ্রামে সমাজসেবা মূলক কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে শিকারপুর নেয়ামত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৮৬), শিকারপুর ওয়াজেদীয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা (১৯৮৮), শিকারপুর বায়তুল আমান জামে মসজিদ (১৯৮৯), নিজ জমিতে সরকারী শিকারপুর কমিউনিটি ক্লিণিক (২০০৪), ৩০০ এর অধিক গাছসহ সামাজিক বনায়ন, কবরস্থান, সুবিশাল দীঘি খনন করে মাছ চাষের ব্যবস্থা এবং রাস্তা-ঘাট নির্মানসহ অগণিত উন্নয়ন মূলক কাজ। তিনি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম ফাউন্ডেশন কুমিল্লা শাখার আমরণ সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এবং তার স্ত্রী ১৯৯৭ইং ও ২০১২ইং সনে পবিত্র হজ্জ পালন করেন।

কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, জনাব আলহাজ্ব এডভোকেট নেয়ামত উল্লাহ ৮৪ বছর বয়সে লিবার ক্যান্সার এবং মাল্টি অরগান ফেল করার কারনে ২৬ আগষ্ট ২০২০ইং তারিখে কুমিল্লার মুন হাসপাতালের আইসিইউ তে সকাল ৭.৩০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ মেয়ে, ২ ছেলে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের নামাজে যানাজা ২৬ আগষ্ট ২০২০ইং বেলা ১২ টায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে, বাদ জোহর কুমিল্লা কালেক্টরিয়েট জামে মসজিদে, এবং বাদ আছর তার প্রতিষ্ঠিত শিকারপুর বাইতুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এবং তারপর মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ডকুমেন্ট বা প্রকাশনা

প্রতিষ্ঠাতার গ্যালারি

প্রতিষ্ঠাতার আভাস

Playlist

3 Videos