আমাদের সম্পর্কে

ফাউন্ডেশন ইতিহাস

প্রতিষ্ঠাতা

এডভোকেট নেয়ামতউল্লাহ, এল.এল.বি., কুমিল্লা জজ কোর্ট

প্রতিষ্ঠার তারিখ

১২ই সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ (অনানুষ্ঠানিক) এবং ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (আনুষ্ঠানিক)

লিগ্যাল স্ট্যাটাস

রেজিস্টার্ড আন্ডার কোম্পানি এক্ট অফ বাংলাদেশ

ভূমিকা ও ইতিহাস

এডভোকেট নেয়ামতউল্লাহ শিকারপুর গ্রামে ধর্মীয় এবং সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করে সমাজসেবায় অনুপ্রানিত হন এবং সর্বপ্রথম ১৯৮৫ সালে শিকারপুর নিজ গ্রামে একটি মসজিদ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তার পারিবারিক জমিতে পরিবার এবং গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তিনি ১৯৮৬ সালে নেয়ামতউল্লাহ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৯৮৯ সালে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর একে একে আরও অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান চালু করেন এবং ধর্ম ও মানবতার সেবায় একটি কমপ্লেক্স তৈরী করেন। শুরু থেকে এই কমপ্লেক্সের মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষ বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আত্মিক ও সামাজিক উন্নয়ন সাধনে কাজ করেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। এই কমপ্লেক্সটি কুমিল্লা সদর হতে ১২ কি. মি. উত্তরে বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর গ্রামে অবস্থিত। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্যগণ কমপ্লেক্স তথা প্রতিষ্ঠানগুলিকে সঠিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং ২০২৩ সালে শিকারপুর গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নেয়ামতউল্লাহ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ফাউন্ডেশন সমাজের ধর্মীয় ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ নিবে যাহা পরিশেষে সমাজের দুর্বল এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সামাজিক মান উন্নয়নে সাহায্য করবে।

দুর্বল, সুবিধাবঞ্চিত ও শোষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষা, ঐক্য ও শান্তি গড়ে তোলা এবং তাদের আধ্যাত্মিক, শিক্ষাগত ও সামাজিক উন্নয়নে সেবা করা।

ধর্মচর্চা, মানবসেবা, সমতাভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা, যেখানে মানুষ স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি তার দায়িত্ব উপলব্ধি করে এবং প্রকৃতির যত্ন নেয়।

আমাদের কার্যক্রমসমূহ

এই ফাউন্ডেশনটির কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে তিন স্তরে তিনটি কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে ট্রাস্টি বোর্ডের অনুদানের উপর ভিত্তি করে। পরবর্তীতে, নির্বাহী কমিটি অনুদানের উপর নির্ভর করে গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে ফাউন্ডেশনের আয়ের উৎস তৈরী করবে। এই সেবামূলক কার্যক্রম থেকে অর্জিত অর্থ খরচ করা হবে ধর্মীয় ও মানবতার সেবায়। প্রতি বৎসর পরবর্তী বৎসরের জন্য নির্বাহী কমিটি সেবার তালিকা প্রকাশ করবে এবং এ অনুযায়ী সারা বছর কাজ করবে| তবে ধর্মীয়, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে প্রতি বছর সেবা প্রদান করা বাধ্যতামূলক।

বৈশিষ্ট্যসমূহ

১. সকল কাজে গুণগত মান নিশ্চিত করা।
২. সেবা কার্যক্রমে সামাজিক ও আত্মিক উৎকর্ষ সাধনের সমন্বিত প্রয়াস।
৩. এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন সম্প্রসারিত করা।
৪. নিবেদিত কর্মীদল।

পুরস্কার ও কৃতিত্ব

ফাউন্ডেশনের কাজ বিভিন্ন সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে। আমাদের এমন একটি সম্মান প্রদান করে আমাদের সেবার প্রতি তাদের বিশ্বাস ও বিশ্বাসের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এটি আমাদের উত্সাহিত করে এবং বিশ্বাসের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে যে আমরা সঠিক পথে আছি যখন আমাদের সমাজের প্রবীণদের প্রতি আমরা যে মহান দায়িত্ব পালন করি তা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। এই পুরষ্কারগুলি আমাদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।